অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময়। অভাব না থাকলে জীব সৃষ্টির বৃথা হইত। অভাব আছে বলিয়া অভাব পূরণের জন্য এত উদ্যম, এত উদ্যোগ। আমাদের সংসার অভাব ক্ষেত্র বলিয়াই কর্মক্ষেত্র। অভাব না থাকিলে সকলেই স্থানু, স্থবির হইতে হইতো, মনুষ্য জীবন বিড়ম্বনা ময় হইত। মহা জ্ঞানীরা হইতে দুঃখ দূর করিবার জন্য ব্যগ্র। কিন্তু জগতে দুঃখ আছে বলিয়াই তো আমরা সেবার সুযোগ পাইয়াছি। সেবা মানব জীবনের ধর্ম। দুঃখ আছে বলিয়াই শেষ এবার পাত্র যত্রতত্র সদা কাল ছড়াইয়া রহিয়াছে। যিনি অন্নদান, বস্ত্রদান, জ্ঞান দান, বিদ্যা দান করেন, তিনি যেমন জগতের বন্ধু। তেমনি যিনি দুঃখে আমাদেরকে সেবার পাত্রে অজস্র দান করিতেছেন, তিনিও মানবের পরম বন্ধু। দুঃখকে শত্রু মনে করিও না। দুঃখ আমাদের বন্ধু।
সারাংশ: অভাব জীবনকে কর্মময় জগতকে বৈচিত্র্যময় ও মানুষকে উদ্যোগী করেছে। সেবা ধর্মের উৎস এই অভাব। অপরের দুঃখ দূর করার মাধ্যমে মানুষের মন মনুষত্ব ও মানবতাবোধে মহান হয়ে ওঠে। তাই দুঃখ মানুষের শত্রু নয় বরং বন্ধু।