জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। ‘আকাশ’ প্রবন্ধটির লেখক কে?
উত্তর: আকাশ প্রবন্ধটির লেখক আবদুল্লা আল-মুতী।
২। ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’ রচনাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’ রচনাটি আবদুল্লাহ আল-মুতীর লেখ।
৩। আবদুল্লাহ আল-মুতী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: আবদুল্লাহ আল-মুতী ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৪। সংকেত অর্থ কী?
উত্তর: সংকেত অর্থ ইঙ্গিত বা ইশারা।
৫। আবদুল্লাহ আল-মুতী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: আবদুল্লাহ আল-মুতী ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৬। কোন সময় আলোকে অনেক বেশি হাওয়ার কণা ডিঙাতে হয়?
উত্তর: সকারে বা সন্ধ্যায় আলোকে অনেক বেশি হাওয়ার কণা ডিঙাতে হয়।
৭।কোন মহাকাশযান গ্রহ-উপগ্রহে যেতে পারে?
উত্তর: রকেট গ্রহ-উপগ্রহে যেতে পারে।
৮।সচরাচর আকাশ কোন রঙের হয়?
উত্তর: সচরাচর আকাশ নলি রঙের হয়।
৯। পৃথিবীর উপর যতদূর পর্যন্ত বাতাস রয়েছে তাকে কী বলে?
উত্তর: পৃথিবীর উপরে যতদূর পর্যন্ত বাতাস রয়েছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে।
১০। মহাকাশযান থেকে কোন মাধ্যমে সংকেত পাঠানো হয়?
উত্তর: মহাকাশযান তেকে টেলিফোন ও টেলিভিশনে সংকেত পাঠানো হয়।
১১। ঘন মেঘের ভেতর দিয়ে কী আসতে পারে না।
উত্তর: ঘন মেঘের ভেতর দিযে সূর্যের আলো আসতে পারে না।
১২। কোনটি সোনার থালার মতো?
উত্তর: সূর্য সোনার থালার মতো।
১৩।কোনটি গ্যাস ভর্তি ফাঁকা জায়গা?
উত্তর: আকাশ গ্যাস ভর্তি ফাঁকা জায়গা।
১৪।আকাশ কিসের মিশেল?
উত্তর: আকাশ বর্ণহীন গ্যাসের মিশেল।
১৫।আলোকে কিসের কণা ডিঙাতে হয়?
উত্তর: আলোকে হাওয়ার কণা ডিঙাতে হয়।
১৬। আগুন জ্বালানোর জন্য দরকারি গ্যাস কোনটি?
উত্তর: আগুন জ্বালানোর জন্য দরকারি গ্যাস অক্সিজেন।
১৭। পৃথিবীর উপরে অংশকে কী বলে?
উত্তর: পৃথিবীর উপরের অংশকে ভূর্পষ্ঠ বলে।
১৮।সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হলে মেঘের রং কেমন হয়?
উত্তর: সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হলে মেঘের রং কালো হয়।
১৯। কার্বন পুড়ে কোন গ্যাস তৈরি হয়?
উত্তর: কার্বন পুড়ে কার্বন ডা-অিক্সাইড তৈরি হয়।
২০। কিসের কারণে পৃথিবীতে আকাশ নীল দেখায?
উত্তর: হাওয়ার কারণে পৃথিবীতে আকাশ নীল দেখায়।
২১। আবহাওযার খবর জন্যের জন্য মহাকাশযান থেকে কিসের ছবি তোলা হচ্ছে?
উত্তর: আবহাওয়ার খবর জানার জন্য মহাকাশযান থেকে পৃথিবীর ছবি তোলা হচ্ছে।
২২।পৃথিবী ক?
উত্তর: পৃথিবী একটি গ্রহ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১।সন্ধ্যায় আকাশে লাল আলোর বন্যা নামে কেন?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের বিশাল স্তর পেরিয়ে আসতে পারে শুধু সূর্যের লাল রঙের ঢেউ-একারনে সন্ধ্যায় আকাশে লাল আলোর বন্যা নামে।
‘আকাশ’ প্রব্ধ থেকে জানা যায়, পৃথিবীর উপরে আছে বিশাল বায়ুমণ্ডল এবং এতে রয়েছে ধুলোকণা আর মেঘের স্তর। সন্ধ্যাবেলায় সূর্যের রশ্মিকে তীর্যকভাবে বায়ুমণ্ডলের স্তর পাড়ি দিতে হয়। এই সময় শুধু লাল রঙের ঢেউগুলো আসতে পারে। অন্য কোনো রঙের ঢেউ আসতে পারে না। এ কারণেই সন্ধ্যায় আকাশে লাল আলোর বন্যা নামে ।
২। দূর দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে কেন?
উত্তর: উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে টেলিফোনে সংকেত পাঠানোর জন্য দূর দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে।
আমরা বর্তমানে বিজ্ঞানের আধুনিক যুগে বাস করছি। বিজ্ঞান আমাদের অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছে। মানুষ আগে যা কল্পনা করত এখন তা বাস্তবে পরিণত করছে বিজ্ঞান। এক দেশ থেকে অন্য দেশের সাথে যোগাযোগ করতে এখন আর অনেক দিন সময় দিতে হয় না। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি।
৩।বিভিন্ন সময়ে আকাশের রং বিভিন্ন হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: বিভিন্ন সময় আকাশের রং বিভিন্ন হওয়ার কারণ পৃথিবীর উপরকার বায়ুমণ্ডল।
সূর্য থেকে যে আরো আমাদের চোখে পড়ে, তাকে পৃথিবীর উপরকার বিশাল হাওযার স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। দুপুর বেলা এই আলো আসে সরাসরি অর্থাৎ প্রায় লম্বভাবে হাওয়ার স্তুর ফুঁড়ে। কিন্তু সকালে বা সন্ধ্যায় এই আলো আসে তেরছাভাবে হাওয়ার স্তুর পেরিয়ে। তাতে আলোকে হাওয়ার কণা ডিঙাতে হয় দুপুরের তুলনায় অনেক বেশি। সকারে বা সন্ধ্যায় মেঘ আর হাওয়ার ধুলোর কণার ভেতর দিয়ে লম্বা পথ পেরিয়ে আসতে পারে শুধু সূর্যের লাল আলোর ঢেউগুলো। সে মেঘকে তখন লাল দেখায় এবং আকাশেও লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে। আবার ঘন বৃষ্টিকণা আকাশ ছেয়ে ফেললে আকাশ কালো দেখায়। মূলত এ কারণেই বিভিন্ন সময়ে আকাশের রং বিভিন্ন হয়।
৪।বিজ্ঞানের কাছে সমগ্র মানবজাতি ঋণী কেন?
উত্তর:মানুষের জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে আধুনিক সভ্য জাতিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানিই মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে সমগ্র মানবজাতি বিজ্ঞানের কাছে ঋণী।
বিজ্ঞান মানুষের জীবনযাপনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে। আধুনিক সভ্যতার মূলভিত্তিই বিজ্ঞান। বিজ্ঞান মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবদান রাখছে। চিকিৎসা ক্ষেত্র, কৃষি ক্ষেত্র, ব্যবসার ক্ষেত্র, যোগাযোগ ক্ষেত্র সকল ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান অনেক। মানুষের গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে শুরু করে জীবিকা অর্জন আজ বিজ্ঞানের উপর নির্ভশীল।
৪। আকাশের নীল চাঁদোয়াটা মূলত কী?
উত্তর: আকাশের নীল চাঁদোয়াটা মূলত বায়ুমণ্ডলের স্তর। আগেকার দিনের লোকোরা আকাশের নীল চাঁদোয়াটিকে ভাবত পৃথিবীর ওপর বিরাজমান শক্ত একটি ঢাকনা্ কিন্তু আজ বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে আকাশের নীল চাঁদোয়াটি কঠিন কোনো জিনিসের তৈরি নয়, এটি আসলে গ্যাস ভর্তি ফাঁকা জায়গা। এই বায়ুমণ্ডলে আছে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ মোট বিশটি বর্ণহীন গ্যাসের মিশেল। এছাড়াও আছে পানি বাষ্প ও ধূলিকণা। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটিকেই আমরা আকাশ বলে মনে করি।
৬।মাঝে মাঝে মেঘের রং কালো হয় কেন?
উত্তর: মেঘ জমে ভারী হয়ে যাওয়ার ফলে সূর্যের আলো তার ভেতর দিয়ে আসতে পারে না। তাই মাঝে মাঝে মেঘের রং কালো হয়।
মেঘের রং কখনো সাদা আবার কখনো কারো দেখায়। সাদা মেঘে রয়েছে জলীয় বাষ্প জমে তৈরি াতি ছোট অসংখ্য পানির কণা। কখনো মেঘে এসব কণার গায়ে বাস্প জমার ফরে ভার িহয়ে বড় পানির কণা তৈরি হয়। তখন সূর্যের আলো তার ভেতর দিয়ে আসতে পারে না। আর তাই তখন মেঘের রং কালো দেখায়।