জাতীয় পতাকা বিশেষ রংয়ের নকশা করা এক খণ্ড কাপড় কোন নির্দিষ্ট দেশের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি একটি জাতির স্বাধীনতার প্রতীক। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতির তাদের নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে । বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদেরও রয়েছে জাতীয় পতাকা। আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় জাতীয় পতাকাটি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি। তাই জাতীয় পতাকা আমাদের গৌরবের বস্তু। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ঃ ৬। আমাদের জাতীয় পতাকা আকার আয়তাকার এবং মাঝে লাল গোলাকার বৃত্ত রয়েছে। গোলাকার বৃত্ত টির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতীয় পতাকায় ব্যবহৃত দুটি রং এর তাৎপর্য রয়েছে। সবুজ রং তারুণ্যদীপ্ত প্রাণশক্তির জনগণ এবং বাংলাদেশের সবুজ মাঠ ও ও বনভূমি কে তুলে ধরেছে। অন্যদিকে লাল বৃত্তটি একটি নবগঠিত জাতির নতুন আশা ও আকাঙ্ক্ষা সমন্বিত একটি উদীয়মান সূর্য কে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া বৃত্তটি তে ব্যবহৃত লাল রং বীর শহীদদের লাল রক্তকে প্রতীকায়িত করে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কে মনে করিয়ে দেয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের অনেক বিএফ মুক্তিযোদ্ধা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের বুকের লাল রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বাংলাদেশের সকল সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদেশি মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস গুলোতে এই পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে এবং রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে সর্বদা আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রেরণা দেয়। জাতীয় পতাকা আমাদের গৌরবের বিষয়। জাতির প্রতি কর্তব্য পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারি।