আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
মূলভাব:
কাজের মাধ্যমেই মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। মুখে বড় বড় কথা না বলে কাজে আত্মনিয়োগ করলে সভ্যতার বিকাশ সাধন করা সম্ভব।
সম্প্রসারিত ভাব:
কাজই মানুষের পরিচয় বহন করে। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনেক কথা বলতে ভালোবাসে। কিন্তু কাজের বেলায় ফাঁকি দেয়। নিজে কাজ না করলেও যখন অন্য কেউ সেই কাজটি করে তখন তারা সেই কাজটির সমালোচনা করতে শুরু করে। এসব মানুষ আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তারা দেশের, সমাজের, সর্বোপরি জাতির উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নিজ নিজ কাজ সম্পন্ন করলে এবং অন্যের কাজে সাহায্য করলে আমাদের দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব। আমাদের দেশে কায়িক পরিশ্রম কে হেয় চোখে দেখা হয় কিন্তু পৃথিবীর সব দেশেই শ্রমকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। মহামানবদের জীবনী পাঠ করলে দেখা যায় তারা নিজ নিজ কাজ নিষ্ঠার মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। আর তাইতো তাদের নাম আজও স্বর্নাক্ষরে খোদাই করে রাখা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে তারা সারা বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। যে তিনজন মানুষ প্রথম চাঁদে অবতরণ করেছেন মানুষ তাদের আজও মনে রেখেছে। তারা হলেন নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও এডুইন অলড্রিন। তারা দুঃসাহসী কাজের জন্য আজও মানুষের কাছে বরণীয় হয়ে আছেন। আমাদের উচিত তাদের পথ অনুসরণ করা। যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়ন সাধন করেছেন। যারা কাজ না করে বেশি বেশি কথা বলে মানুষ তাদের বাচাল বলে। আর বাচালের সঙ্গ ত্যাগ করাই উচিত।
মন্তব্য:
পরিশেষে বলা যায় যে, সকল প্রকার অলসতা ত্যাগ করে কাজ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে হবে।