জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার রচয়িতা সৈয়দ মামসুল হক।
২।সৈয়দ শামসুল হক কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
৩। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়‘ নাটকটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকটির রচয়িতা সৈয়দ শামসুল হক।
৪। ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ নাটকটি কার লেখা?
উত্তর: ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ নাটকটি সৈয়দ শামসুল হকের লেখা।
৫।কার দড়িতে ঢেউ খেলানো নিয়ে পালামশাই বর্ণনা দিলেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাড়িতে ঢেউ খেলানো নিয়ে পালামশাই বর্ণনা দিলেন।
৬।‘কতদিকে কত কারিগর‘-উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর: ‘কতদিকে কত কারিগর‘-উক্তটি বৃদ্ধ পালমশাই করেছেন।
৭।সরা অর্থ কী?
উত্তর: সরা অর্থ মাটির ঢাকনা।
৮।সুক্ষ্ম অর্থ কী?
উত্তর: সুক্ষ্ম অর্থ মিহি বা সরু।
৯।পাটার কাজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পাটার কাজ বলতে মাটির ফলক তৈরির কাজ বোঝায়।
১০।লেখক বেশি কৌতুহল নিয়ে কিসের কাজ দেখেন?
উত্তর: লেখক বেশি কৌতুহল নিয়ে াটার কাজ দেখেন।
১১।কোন ধরনের যুবতীর চিত্র মাটির পাটায় তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর: বেণিবদ্দনরত যুবতীর চিত্র মটির পাটায় তুলে ধরা হয়েছে।
১২। কোন ধরনের নৌকার চিত্র পাটায় তুলে ধরা হয়?
উত্তর: ময়ূরপঙ্খি নৌকার চিত্র পাটায় তুলে ধরা হয়।
১৩। এক একটা চিত্রের জন্য কিসের ওপর খোদাই করা নকশা আছে?
উত্তর: এক একটা চিত্রের জন্য কাঠের ওপর খোদাই করা নকশা আছে।
১৪।পাটাগুলো কোথায় পোড়াবার জন্য তৈরি করা হয়?
উত্তর: পাটাগুলো ভাঁটিতে পোড়াবার জন্য তৈরি করা হয়।
১৫। কুমোরদের মধ্যে কয়জন যুবক ছিল?
উত্তর: কুমোরদের মধ্যে দুজন যুবক ছিল।
১৬। পালমশাই মুকুটের ওপর কী নকশা এঁকে দিলেন?
উত্তর: পালমশাই মুকুটের ওপর চিকন নকশা এঁকে দিলেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১।বৃদ্ধ পালমশাই কারিগরদের তদারক করছিলেন কেন?
উত্তর: কাজটিকে সুনিপুণ ও নিখুতভাবে করার জন্য বৃদ্ধ পালমশাই কারিগরদের তদাকর করছিলেন।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার বৃদ্ধ পালমশাই একজন দক্ষ সুনিপুণ কারিগর। কাজের হাতে তার অত্যন্ত সুন্দর। প্রতিটি শিল্পকর্মের তিনি পূর্ণরূপ দিতে পারেণ তার কয়েকজন কারিগর আছে। যারা তার কর্মচারী।মাটির ফলকে মাটির কলম দিয়ে নকমা করার সময় যেন ত্রটি না হয় তাই বৃদ্ধ পালমশাই কারিগরদের তদারক করছিলেন।
২।পোড়ামাটির পাটার বিক্রি বেশি কেন?
উত্তর: পোড়ামাটির পাটা দামে সস্তা ও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই এর বিক্রি বেশি।
‘কতদিকে কত কারিগর‘ রচনায় মাটির শিল্পকমেৃর সৌন্দর্য বর্ণনা করা হয়েছে। গ্রামের মানুষের কাছে পোড়ামাটির গ্রণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।মানুষের মধ্যেও সৌখিনতা ও শিল্পবোধ আছে। আর যেহেতু পোড়ামাটির জিনিসের দাম অপেক্ষাকৃত কম এবং ঘরের দেয়ালে খুব সহজে সাজনো যায়-এ কারণে পোড়ামাটির পাটার বিক্রি বেশি।
৩। ‘ছোক দুটো ঝাপসা হয়ে এলো‘-বলতে কী বোঝানো হয়েছে।
উত্তর: ‘কতদিকে কত কারিগর‘ রচনায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বৃদ্ধ পালমশাইয়ের শ্রদ্ধা আর বালোবাসা দেখে লেখকের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
রচনায় কৃমোরদের তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্মের উল্লেখ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন মনষিীর প্রতিকৃতি। পালমশাইয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিকৃতিগুলোকে খুব যত্নসহকারে এবং সতর্কতার সথে তৈরি করা হচ্ছিল। লেখক বঙ্গবন্ধুর ছবির বিষয়ে জানতে চান। তখন পালমশাই বঙ্গবন্ধুকে সকলের ওপরের স্থানরোখার কথা বলেন। অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি সম্মান আর ভালোবসা আজ পপাড়াগাঁয়ের এক বৃদ্ধের মধ্যেও রয়েছে। এর বিষয়টিই লেখককে আবেগাপুত করে দেয়। তাঁর চোখ দুটে ঝাপসা হয়ে আসে।
৪। কুমোরেরা চিত্রের নকমা তৈরি করেন কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘কতদিকে কত কারিগ’ রচনায় কুমোরেরা মাটির পাটায় বিভিন্ন চিত্রের নকশা তৈরি করেন।
কুমোরেরা চিত্রের নকশা তৈরি করার জন্য কাঠ ব্যবহার করেন্ কাঠের ওপর খোদই করে প্রথমে তারা নকশা তৈরি করেন। এরপর এর ওপর কাদার তাল টিপে টিপে পাটা তৈরি করেন। কাদার তালে নকশা ফুটে ওঠে নকশায় কোনো সমস্যা হলে বাঁশের কলম দিয়ে তা সংশোধন করেন। এভাবেই কুমোরেরা চিত্রকর্মের একটি পরিপূর্ণ নকশা দাঁড় করান।
৫। পালমশাই তার বাবার সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করেন?
উত্তর: ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় বৃদ্ধ পালমশাই তার বাবাকে একজন বড় শিল্পী মনে করেন।
লেখক কুমোর পাড়ায় বৃদ্ধ পালমশাইয়ের সাথে বিভিন্ন বিষয় আলাম করেন্ সেখানে পালমশাই তার বাবার কথা বলেন। তিনি দেশের আনাচে-কানাচে থাকা বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি তার বাবা যে একজন বড় এবং গুণী মৃৎশিল্পী ছিলেন সেটাও বলেন। আর তার বাবার মতো শিল্পীদের স্বীকৃতি নেই বলে আপেক্ষ করেন।