HomeHealth Educationকিডনির সমস্যা প্রতিরোধে যা করণীয়

কিডনির সমস্যা প্রতিরোধে যা করণীয়

Author

Date

Category

শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে বৃক্ক বা কিডনি। শরীরে জমে থাকা নানা রকম বর্জ্য পদার্থ পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। কিডনি বিকল হলে মানুষের ভয়াবহ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু এই রোগের অবসান।

কিডনি রোগ কি বা কেন হয় জানতে চাইলে দেখে নিতে পারেন – কিডনি রোগ থেকে বেঁচে থাকার উপায়।

বর্তমানে গোটা বিশ্বে কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণেই কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া আবশ্যক। নিচে বর্ণিত কার্যাবলী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকরী।

১. কিডনি সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত জরুরি। এজন্য দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

২. প্রস্রাব কখনওই চেপে রাখা ঠিক নয়। এতে মূত্রথলিতে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। এছাড়া ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

৪. বয়স ৪০ পার হলে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

৫. বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন, রক্তের ক্রিয়েটেনিন পরীক্ষা করান।

কিডনি সুস্থ রাখার 10 টি উপায়

  1. ডায়াবেটিস উচ্চরক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস কিডনি বিকলের প্রধান কারণ। কাজেই রোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
  2. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন পরীক্ষা করা ও যথাযথ শুরু করা প্রয়োজন রক্তের শর্করা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অ্যালবুমিন এর মাত্রা 7 এর কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  3. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে মাঝে কিডনির কার্যকারিতা প্রতি ছয় মাস অন্তর পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
  4. উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। রক্তচাপ 130/80 নিচে রাখতে হবে।
  5. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথার ঔষধ ইত্যাদি সেবন না করা অত্যন্ত জরুরী। ঔষধ খেলে বেশি করে পানি খেতে হবে।
  6. ডায়রিয়া বমি ও রক্ত আমাশয় এর কারনে রক্ত পানি ও লবণ শূন্য হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।
  7. শিশুদের গলা ব্যথা জ্বর ও তোকে খোস-পাচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত। কারণ এগুলো থেকে কিডনির প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে।
  8. প্রস্রাবে ঘনঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
  9. পাঁচ রংয়ের সবজি খাবেন বেশি করে ফল খাবেন চর্বিজাতীয় খাবার ও লবণ কম খাবেন ও পরিমিত পানি পান করবেন।
  10. ধূমপান বর্জন করুন ওদের নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Md. Sohel Rana

Senior Teacher, Milestone College

Md. Sohel Rana, the author of BD24 Online School and Senior Teacher of Milestone School and College.

Recent posts

Recent comments