জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। কে অলকায় যেতে চায় না?
উত্তর: ঝিঙে ফুল অলকায় যেতে চায় না।
২। ঝিঙে ফুলকে কে ডেকে যায়?
উত্তর: ঝিঙে ফুলকে প্রজাপতি ডেকে যায়।
৩। ঝিঙে ফুল কখন ফোটে?
উত্তর: ঝিঙে ফুল পৌষের বেলা শেষে ফোটে।
৪। মাটি-মাকে কে ভালোবাসে?
উত্তর: মাটি-মাকে ঝিঙে ফুল ভালোবাসে।
৫। আমাদের রণসংগীত কোনটি?
উত্তর: আমাদের রণসংগীত ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি।
৬। আসমানের তারা কাকে ডাকে?
উত্তর: আসমানের তারা ঝিঙে ফুলকে ডাকে।
৭। ঝিঙে ফুল কোথায় যেতে চায় না?
উত্তর: ঝিঙে ফুল স্বর্গে যেতে চায় না।
৮। ‘পউষের বেলা শেষ’ বলতে কোন সময়কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘পউষের বেলা শেষ’ বলতে শীতের বিকালকে বোঝানো হয়েছে।
৯। আসমানের তারারা কী চায়?
উত্তর: আসমানের তারারা ঝিঙে ফুলকে হাতছানি দিয়ে ডেকে যায় আসমানের মুক্ত পরিবেশে আসার জন্য।
১০। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি কার লেখ?
উত্তর: ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
১১। ‘ঝলমল দোলে দুল’ বলা হয়েছে কাকে?
উত্তর: ‘ঝলমল দোরে দুল’ বরা হয়েছে ঝিঙে ফুলকে।
১২। কাজী নজরুল ইসলাম কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ২৪শে মে।
১৩। কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।
১৪। আমাদের জাতীয় কবি কে?
উত্তর: আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
১৫। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটির শিখনফল কী?
উত্তর: ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটির শিখনফল হলো পরিবেশ সম্পর্কে চেতনা অর্জন ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি।
১৬। কাজী নজরুল ইসলাম ছেলেবেলায় কোন দলে গান গাইতেন?
উত্তর: কজী নজরুল ইসলাম ছেলেবেলায় লেটো গানের দলে গান গাইতেন।
১৭। কাজী নজরুল ইসলাম কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।
১৮। কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় সমাহিত করা হয়?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।
১৯। মাচান কী?
উত্তর: মাচান বা পাটাতন যার উপর লতাপাতা বেয়ে থাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্র আহ্বান করে কেন?
উত্তর: ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য প্রজাপতি মুগ্ধ ও অভিভূত। তাই প্রাজপপতি ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্য আহ্বান করে।
‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য কবি সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। প্রজাপতির কাজ হলো ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করা। প্রজাপতি যখন মধু কেতে ঝিঙে ফুলের কাছে এলো, তখনই এই ফুলের সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে গেল। মূলত ওড়ার সঙ্গী বানানোর জন্যই প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্য আহ্বান করে।
২। গুল্ম, লতাপাতায় ঝিঙে ফুল কীভাবে দোলে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গুল্ম, লতাপাতায় ঝিঙে ফুল স্বর্ণের মতো ঝলমল করে দোলে।
‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় কবি সৌন্দর্য বিস্তারকারী ঝিঙে ফুল সম্পর্কে বলেছেন। ঝিঙে ফুল ঝোপঝাড়ে, লতার কানে স্বার্ণের মতো ঢলঢল করে দোলে। সন্ধ্যার সময় পাতার হৃদয় বোঁটাতে ঝিঙে ফুল ঝলমল করে দুরে ওঠে।
৩। ‘চলে আয় এ অকুল’-এর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘চলে আয় এ কুল’ দ্বারা আকাশের তারার আহ্বানকে বোঝানো হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উৎস ঝিঙে ফুলের রূপবৈচিত্র্য তুরে ধরেছেন। ফিরোজা রঙের ঝিঙে ফুল পৌষের বেলাশেষে সবুজ পাতার দেশে জাফরান রং নিয়ে কানের দুলের মতো ঝলমল করে। তার অপূর্ব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আকাশের তারা তাকে আহ্বানকে করে।
৪। ঝিঙে ফুল স্বর্গে যেতে রাজি হয়নি কেন?
উত্তর: ঝিঙে ফুল তার মা-মাটিকে স্বর্গ মনে করে। তাই সে তাদের ছেড়ে অন্য কোনো স্বর্গে যেতে রাজি হয় নি।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় বর্ণিত ঝিঙে ফুলের উৎস মাটি। তাই মা-মাটিকে ছেড়ে কোথাও তার যেতে ইচ্ছে করে না। স্বর্গের অসীম সুখের হাতছানি তাকে ভুলাতে পারে না। মা ও মাটি ভারোবাসে বলে তাদের ছেড়ে স্বর্গে যেতে রাজি হয় না সে।