মাদার তেরেসা
জ্ঞান মূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। সনজীদা খাতুন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সনজীদা খাতুন ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
২।মাদার তেরেসার ব্যবহারের জন্য কয়টি শাড়ি ছিল?
উত্তর: মাদার তেরেসার ব্যবহারের জন্য তিনটি শাড়ি ছিল?
৩। কত বছর বয়সে মাদার তেরেসা লরেটো সিস্টার্স-এ যোগ দেন?
উত্তর: ১৮ বছর বয়সে মাদার তেরেসা লরেটো সিস্টার্স এ যোগ দেন।
৪। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার প্রায় ১ কোটি লোক কোথায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার প্রায় ১ কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।
৫।মাদার তেরেসা কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: মাদার তেরেসা কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
৬। মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের জন্য মাদার তেরেসা কী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের জন্য মাদার তেরেসা ‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৭। ‘নির্মল হৃদয়’ কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তর: ‘নির্মল হৃদয়’ ১৯৫২ সালে সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৮। ‘নির্মল হৃদয়’ কোথায় প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তর: ‘নির্মল হৃদয়’ কলকাতার কালিঘাটে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৯। কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের জন্য মাদার তেরেসা কী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের জন্য মাদার তেরেসা ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১০। মাদার তেরেসা প্রথম কত সালে বাংলাদেশে আসেন?
উত্তর: মাদার তেরেসা প্রথম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসেন।
১১। বাংলাদেশে ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র প্রথম শাখা কোথায় গড়ে তোলা হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র প্রথম শাখা ঢাকার ইসলামপুরে গড়ে তোলা হয়।
১২। মাদার তেরেসার শ্রেষ্ঠ সম্মাননা কোনটি?
উত্তর: মাদার তেরেসার শ্রেষ্ঠ সম্মাননা নোবেল পুরস্কার।
১৩। মাদার তেরেসা কিসে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: মাদার তেরেসা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
১৪। মাদার তেরেসার বাবার নাম কী?
উত্তর: মাদার তেরেসার বাবার নাম নিকোলাস বোজাঝিউ।
১৫। মাদার তেরেসা কোন মহাদেশে জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তর: মাদার তেরেসা আফ্রিকা মহাদেশে জন্মগ্রহণ করেন।
১৬। ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের রচয়িতা সনজীদা খাতুন।
১৭। মাদার তেরসার জন্ম কোথায়?
উত্তর: মাদার তেরেসার জন্ম আলবেনিয়ার স্কপিয়েতে।
১৮। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল কত?
উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত।
১৯। কত বছর বয়সে মাদার তেরসা সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮ বছর বয়সে মাদার তেরেসা সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন।
২০। মাদার তেরসা কত বছর সন্ন্যাসিনী হওযার প্রশিক্ষণ নেন?
উত্তর: মাদার তেরেসা তিন বছর সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন।
২১। মাদার তেরেসা কলকাতার সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন কত বছর?
উত্তর: মাদার তেরেসা কলকাতার সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন ১৭ বছর।
২২। মাদার তেরেসা কলকাতার কোন স্কুরে শিক্ষকতা করেন?
উত্তর: মাদার তেরেসা কলকাতার সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
২৩। কত সালে মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ থেকে বিদায় নেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ থেকে বিদায় নেন।
২৪।মাদার তেরেসার গড়া মানবসেবা সংঘের নাম কী?
উত্তর: মাদার তেরসার গড়া মানবসেবা সংঘের নাম হলো ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। মাদার তেরেসা বাংলা শিখলেন কেন?
উত্তর: বাঙালির মধ্যে কাজ করার জন্য মাদার তেরেসা বাংলা শিখলেন।
‘মাদার তেরসা’ প্রবন্ধে লেখক মাদার তেরসার জীবন ও সেবাকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর জন্ম আলবেনিয়ায়। কিন্তু তিনি অভিন্ন ভারতের বাংলা অঞ্চলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় বিচলিত ছিলেন। আর এই বাংলা অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। তিনি যেহেতু এ অঞ্চলের গরিব ও অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করবেন তাই এদের মুখের ভাষা তার জানা উচিত। এই প্রেক্ষাপটে মাদার তেরেসা বাংলা ভাষা শিখলেন।
২। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মাদার তেরসা সেবার আগ্রহ জাগাতেন কেন?
উত্তর: সমাজের অনগ্রসর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া উৎসাহ দিতে এবং মানুষের সেবা করার জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মাদার তেরেসা সেবার আগ্রহ জাগাতেন।
মাদর তেরেসা একজন বিখ্যাত মানবদরদি। তিনি সারাজীবন মানবসেবা করেছেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানবসেবার আগ্রহ জাগাতেন। তিনি বলতেন এ কাজের মাধ্যমে নির্মল আনন্দ পাওয়া যায়। সুতরাং মানবসেবার কাজে উৎসাহিত করার জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মাদার তেরেসা সেবার আগ্রহ জাগাতেন।
৩।মাদার তেরেসা লরেটো সিস্টার্স খ্রিষ্টান মিশনারিতে যোগ দিয়েছিলেন কেন?
উত্তর: সন্ন্যাসিনীর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স খ্রিষ্টান মিশনারিতে যোগ দিয়েছিলেন।
মাদার তেরেসা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা নিজ চোখে দেখে দারুণভাবে ব্যথিত হন। বড় হয়ে সেবা করার মনস্থির করেন। তেরসার বয়স যখন ১৮ তখন তিনি দাজিলিং-এ ‘লরেটো সিস্টার্সে’ যোগ দিলেন। একানে তিন বছর সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের একমাত্র কারণ কীভাবে সেবা করা যায় তা হাতে-কলমে শেখা। যার ফলে তিনি মানুষের কাছ থেকে সেবা করার সুযোগকে কাজে লাগান খুব ভালো করে।
৪।মাদার তেরসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ থেকে বিদায় নিলেন কেন?
উত্তর: কাছে থেকে গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা করার জন্য মাদার তেরেসা লরেটো সিস্টার্স থেকে বিদায় নেন।
মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান মিশনারিতে একটানা তিন বছর সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। তখন তিনি ছিলেন ভারতের দার্জিলিং-এ। কিন্তু বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তাঁর মনকে খুব বিচলিত করেছিল। মূলত মানুষকে খুব কাছ থেকে সেবা করার জন্যই তিনি ‘লরেটো সিস্টার্স’ থেকে ১৯৪৮ সালে বিদায় নেন।
৫। ‘আগনেস গোনজা বোঝাঝিউ’-এর নাম কখন মাদার তেরেসা হলো?
উত্তর: সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের সময়ে অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ-এর নাম হলো মাদার তেরেসা।
মাদার তেরেসা ১৯১০ সালের ২৬শে আগস্ট আলবেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক অনুসারে তেরসার নাম রাখা হয় অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ। ছোটবেলা থেকেই অ্যাগনেস মানুসের সেবা করার ইচ্ছা পোষণ রেতেন। বড় হয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের সময় তাঁর নাম হলো মাদার তেরেসা। আর তখন থেকেই সারা দুনয়িার মানুষ তাঁকে এক নামে মাদার তেরেসা বলে চেনে।
৬। মাদার তরেসোর পরবিারে বর্পিযয় নেমে এলো কনে?
উত্তর: মাদার তরেসোর বাবা মারা যাওয়ায় তাদের পরবিারে বিপর্যয় নেমে এলো।
মাদার তরেসো একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করছেলিনে। তাঁর বাবার র্আথকি অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তিনি ঘরবাড়ি তৈরির কারবারি করতেন। পরবিাররে উর্পাজনক্ষম বলতে একমাত্র তিনিই ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ায় পরিবারটি র্আথকি বর্পিযয়রে মুখে পরে। তেরেসার অন্য দুই ভাই-বোনরোও তখন আয় করার মতো হয়ে উঠেনি। সুতরাং একমাত্র উর্পাজনক্ষম বাবার অনুপস্থতিতিতে তেরেসার পরবিারটি কষ্টে দিন যাপন করতে থাকে।