HomeবাংলাBangla VI - 1st paper‘মানুষ জাতি’ সৃজনশীলে সহায়ক জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

‘মানুষ জাতি’ সৃজনশীলে সহায়ক জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Author

Date

Category

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত নিমতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
৩। ‘বেণু ও বীণা’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘বেণু ও বীণা’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
৪। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত বছর বয়সে মারা যান?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত চলি­শ বছর চয়সে মারা যান।
৫। মানুষ জাতি কোথায় জুড়ে আছে?
উত্তর: মানুষ জাতি পৃথিবী জুড়ে আছে।
৬। ‘বনেদি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘বনেদি’ শব্দের অর্থ প্রাচীন বা সম্ভ্রান্ত।
৭। নিখিল জগৎ কেমন?
উত্তর: নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়।
৮। হিন্দু সম্প্রদায় কয়টি বর্ণে বিভক্ত?
উত্তর: হিন্দু সম্প্রদায় চারটি বর্ণে বিভক্ত।
৯। দুনিয়ার সাথে কী গাঁথা?
উত্তর: দুনিয়ার সাথে বুনিয়াদ গাঁথা।
১০। ‘জনম-বেদি’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘জনম-বেদি’ অর্থ সূতিকাগৃহ বা জন্মস্থান।
১১। ‘মানুষ জাতি’কবিতার কবি কে?
উত্তর: ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১২। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী হিসেবে খ্যাতি লাখ করেন?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘চন্দের জাদুকর’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১৩। মানুসর ্রধান ধর্ম কী হওয়া উচিত?
উত্তর: মানুষের প্রধান ধর্ম হওয়া উচিত মানবধর্ম।
১৪। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্মজীবন শুর” করেছিলেন কীভাবে?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্মজীবন শুর” করেছিলেন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করে।
১৫। পৃথিবীর সব মানুষকে নিয়ে কী গড়ে উঠেছে?
উত্তর: পৃথিবীর সব মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠেছে মানুষ জাতি।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
১। কবি বর্ণে বণে পার্থক্য করেন না কেন?
উত্তর: কবি বর্ণে বর্ণে পার্থক্য করেন না কারণ-কবির কাছে মানুষের ‘মানুষ’ পরিচয়টি বড়।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের জন্মসূত্রকেই কবি সবচেয়ে বড় মনে করেন। আর এ কারণে সব মানুষ এক ও অভিন্ন। সকল মানুষের রাগ-অভিমান, দুঃখ-কষ্ট হাসি-কান্না একসূত্রে গাঁথা। আর তাই কবি বর্ণে বর্ণে কোনো পার্থক্য করেন না।
২। ‘বাইরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘বাইরের ছোপ আচড়ে সে লোপ’ দ্বারা কবি আমাদের রঙ্কেতর রংকে নির্দেশ করেছেন।
আমাদের পৃথিবীতে বর্ণবৈষম্য বিরাজমান। কালো আর সাদা নিয়ে পৃথিবীব্যাপী চলছে বিবাদ। কিন্তু মানুষ কারো হোক, আর সাদা হোক, শরীরে আঁচড় দিয়ে একই রঙের রক্ত দেখা যয়। মূলত এ পঙ্ক্তিটিতে সাম্যের কথা বলা হয়েছে।
৩। মানুষের মানুষে ভেদাভেদ কীভাবে দূর করা যায়।?
উত্তর: মানুষে মানুষে বেদাভেদ দূর করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
সকল মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। নিজেদের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে। মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী হতে হবে। নিজেদের আত্ম-অহংকার দূর করতে হবে। যদি মানুষ এই কাজগুলো করতে সক্ষম হয় তবেই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করা সম্ভব।
৪। মানুষ কেন ভেদাভেদ সৃষ্টি করে?
উত্তর: মানুষ স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভেদাভেদ সৃষ্টি করে।
সেই প্রাচীন আমল থেকেই দেখা যায়, মানুষে মানুষে নানা ভেদাভেদ, যা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। মানুষ মূলত নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য কৃত্রিমভাবে এই ভেদাভেদ তৈরি করে। অনেকে অন্ধবিশ্বাসের কারণে ভেদাভেদ তৈরি করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রমান করার জন্য মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে। মূলত স্বার্থসিদ্ধির জন্যই মানুষ বৃত্রিমভাবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে।
৫। সকল মানুষ সমান কেন?
উত্তর: মানুষ নিজেদের মধ্যে যতই বৈষম্য সৃষ্টি কর”ক না কেন প্রকৃতপক্ষে সকল মানুষই সমান।
আমাদের এই পৃথিবী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষেরই বাসভূমি। এই ধরণীল ¯েœহছায়ায় এবং একই সূর্য ও চাঁদের আলোতে লালিত ও প্রতিপালিত হচ্ছে সব মানুষ। বাইরের চেহারায় মানুষের মধ্যে সাদা-কারোর ব্যবধান থাকলেও সব মানুষের ভিতরের রং এক ও অভিন্ন, সবারই শরীরে প্রবাহিত এক লাল রং। এসব বিবেচনায় সকল মানুষ সমান।

Md. Sohel Rana

Senior Teacher, Milestone College

Md. Sohel Rana, the author of BD24 Online School and Senior Teacher of Milestone School and College.

Recent posts

Recent comments