রোজনামচার অপর নাম দিনলিপি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম ঘটনা ঘটে থাকে। আমাদের মাঝে অনেকেই এসব ঘটনা লিখে রাখি। আবার কেউ কেউ কয়েকদিন পরপর ঘটে যাওয়া ঘটনা লিখে রাখেন। প্রতিদিনের ঘটা এসব ঘটনা লিখে রাখাকে দিনলিপি বা রোজনামচা বলে। ব্যক্তি জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছুই রোজনামচাতে স্থান পায়। যেমন প্রতিদিন ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সুখ-দুঃখের ঘটনা অথবা কোন বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্কে বর্ণনা সবকিছুই দিনলিপি বা রোজনামচাতে স্থান পায়। প্রকৃতপক্ষে এটি একজন শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষের ভালো একটি অভ্যাসকে প্রকাশ করে।
রোজনামচা এর মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনে নানা ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে সংরক্ষণ করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এ সকল ঘটনার ভবিষ্যতে বেশ কাজে আসে। অথবা এ সকল ঘটনা ভবিষ্যতে পড়ে বিশেষ আনন্দ পাওয়া যায়। রোজনামচা বা দিনলিপি ব্যক্তি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। যা কখনো ব্যক্তি পর্যায়ে বা কখনো প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নানা কাজে আসে।
চলুন এ পর্যায়ে রোজনামচা বা দিনলিপির বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা যাক।
- রোজনামচা বা দিনলিপি মূলত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা ঘটনা প্রবাহের লিখিত দলিল।
- রোজনামচা সাধারণত নিত্যদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। নিত্যদিনের ঘটনার বর্ণনা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা থাকে।
- রোজনামচাতে তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হয়। সেই নির্দিষ্ট তারিখে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে।
- রোজনামচাতে বা দিনলিপিতে বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ থাকে না। ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়।
- রোজনামচাতে ঘটনার ক্রম অনুসরণ করা হয় বা ধারাবাহিকভাবে ঘটনা লিপিবদ্ধ থাকে।
- যেহেতু রোজনামচা ব্যক্তি অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা থাকে, তাই এটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয় না। ব্যক্তি দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পায়।
প্রিয় পাঠক আপনি দিনলিপি বা রোজনামচা লেখেন কিনা তা কমেন্টে লিখুন। রোজনামচা বা দিনলিপি লিখতে আপনার কেমন লাগে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। ধন্যবাদ।