প্রয়োগিক লেখা কি? প্রায়োগিক লেখার বৈশিষ্ট্য ও কৌশল

প্রয়োগ শব্দটি থেকে প্রায়োগিক শব্দের সৃষ্টি। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা বা রচনা যা আমাদের জীবনে সরাসরি প্রয়োজনে আসে সেই সকল লেখনীকে আমরা প্রায়োগিক লেখা বলি। যেমন চিঠিপত্র বা দিনলিপি। প্রায়োগিক লেখার মধ্যে আমরা ব্যক্তির নিজস্ব মতামত ও ধ্যান-ধারণা দেখতে পাই। এ ধরনের লেখনীতে বিশেষ নিয়ম কানুন অনুসরণ করা হয় না। ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতি এখানে প্রাধান্য পায়।

আগেকার দিনে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম না থাকার কারণে মানুষ যোগাযোগের জন্য চিঠিকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিত। ব্যক্তি জীবনের সকল সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনা চিঠির মাধ্যমে প্রকাশ করতো। প্রতিটি ঘরেই চিঠির ব্যবহার ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অসংখ্য মানুষ ঘর ছেড়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি। এছাড়া বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক চিঠিকে রূপ দিয়েছিলেন সাহিত্য হিসেবে। তবে সাধারণ মানুষ চিঠি লিখতো প্রয়োগিক অর্থে। অর্থাৎ নিত্য দরকারি কথাবার্তা তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে চিঠির ব্যবহার হতো। চিঠি একটি প্রায়গিক লেখনীর উদাহরণ।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা এখন আমরা দেখে নেব প্রয়োগিক লেখার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমূহ।

  • প্রায়োগিক লেখায় বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।
  • এখানে লেখার শর্ত কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি থাকে। তবে ব্যক্তি প্রয়োজন বা ব্যক্তি ইচ্ছায় এখানে প্রাধান্য পায়।
  • প্রায়োগিক লেখায় ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও পছন্দের বিষয়টি ফুটে ওঠে।
  • এখানে লেখায় বাস্তব তথ্য উপাত্ত ফুটে ওঠে।

প্রয়োগিক লেখার কৌশল:

যেহেতু প্রায়োগিক লেখা ব্যক্তি ইচ্ছা ও মানসিকতার উপর নির্ভরশীল, তাই এই ধরনের লেখা সৃষ্টিতে গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে নিজের অনুভূতি মতামত বা ইচ্ছা ফুটিয়ে তুলতে হয়। কাকে কি উদ্দেশ্য করে লেখাটি লেখা হচ্ছে তা মনে রাখা উচিত। সেই সাথে শব্দ নির্বাচন বাক্যে শব্দের প্রয়োগ সহ অন্যান্য অন্যান্য যাবতীয় নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হবে।

আরও কিছু জানুনঃ