সপ্তাহে তিনদিন খেজুর খেয়ে দেখুন

দীর্ঘ আয়ু পেতে বা সুখী জীবনযাপন করতে সুস্বাস্থ্যের কোন বিকল্প নেই। এই সুস্বাস্থ্য ধরে রাখবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খেজুর খাওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। আসুন এই পর্বে জেনে নেই খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।

১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

খেজুর হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। শুকনো খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ জাতীয় খাবারের ভালো উৎস। এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও মিনারেল। যা হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

২. হাড় মজবুত করে

শুকনো খেজুর ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম। এই ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়াম হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ ও হাড়কে ভঙ্গুরতা থেকে রক্ষা করে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়

যারা দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে এর মত জটিল সমস্যায় ভুগছেন। সব ডাক্তারদের পরামর্শ এই যে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য অধিকার যুক্ত খাবার খেতে হবে। খেজুরের মধ্যে থাকা আশের জন্য এটি কোষ্ঠকাঠিন্য খুব ভালো ভাবে কমাতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিনবার খেজুর খান।

৪. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে

খেজুর রক্তশূন্যতা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর কারণ খেজুরের মধ্যে থাকা আয়রন। খেজুর আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর। সুতরাং যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই খেজুর খাওয়া শুরু করা প্রয়োজন।


সর্বোপরি বলা যায় খেজুর মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।খেজুরে থাকা নানা ধরনের মিনারেলস মানব শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শরীরবৃত্তীয় কাজে উপকারে আসে। তাই শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত 3 দিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সবাইকে খেজুরের গুরুত্ব জানানোর জন্য পোস্টটি শেয়ার করুন।


তথ্যসূত্র: অনলাইন নিউজপেপার ও ম্যাগাজিন, ছবি: সংগৃহীত; pixabay.com ||