সর্দি-কাশিতে আতঙ্কিত না হয়ে জেনে নিন করোনা ভাইরাসের লক্ষণ চিকিৎসা ও সুরক্ষার উপায়
করোনাভাইরাস যা COVID-19 পরিচিত বিশ্বজুড়ে এক মহামারী সৃষ্টি করেছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বিশ্ব মহামারী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং 40 লক্ষ মানুষ ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে
ভাইরাসটি কি?
করোনা ভাইরাস মূলত একটি সংক্রামক ভাইরাস যা এই প্রথম মানুষকে সংক্রমিত করেছে। ভাইরাসটিকে নোবেল করোনাভাইরাস বলা হয় কারন করনা ভাইরাস পরিবারের এটি একটি নতুন সদস্য যা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। করোনাভাইরাস পরিবারে এর পূর্বে ছয়টি ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা হবে সাতটি।
রোগের লক্ষণ কী?
কোন ভাইরাস রোগের লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপঃ
- জ্বর কাশি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
- এটি ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়। বুকে ব্যথা অনুভব অনুভব হয়
- সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমে শুরু হয় উপসর্গ প্রকাশ করে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়
- পাশাপাশি তীব্র গলা ব্যথা অনুভূত হয়
তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসকল লক্ষণ প্রকাশ নাও পেতে পারে। কোনরকম লক্ষণ প্রকাশ না করেই ভাইরাসটি এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে 5 থেকে 6 দিন সময় নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লু এইচ ও এর মতে ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড 14 দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষণায় পাওয়া তথ্যমতে এর স্থায়িত্ব 24 দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
এই ভাইরাস থেকে রক্ষার উপায় সমূহ:
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পূর্বে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলোই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার এক মাত্র উপায়।
- মানুষের চলাচল সীমিত করে দেওয়া
- স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়ে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
- হাত ধুয়ে সবাইকে উৎসাহিত করা।
- সকলেই মাস্ক পরিধান করা।
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
- নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করা
- সর্বোপরি এইসব বিষয়ে সতর্ক থাকা।