নীলনদ আর পিরামিডের দেশ- সৃজনশীল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:

১। মিশরের বিখ্যাত নদের নাম কী?

উত্তর: মিশরের বিখ্যাত নদের নাম নীলনদ।

২। মিশরের ভাষায় উটের ক্যারাভানকে কী বলে?

উত্তর: মিশরের ভাষায় উটের ক্যারাভানকে বলে কাফেলা।

৩। ‘জাত-বেজাত’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘জাত-বেজাত’ শব্দের অর্থ নানা জাতি।

৪। ‘আবজাব’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘আবজাব’ শব্দের অর্থ গিসগিস বা ঠাসাঠাসি।

৫। মিশরীয় রান্না কোন রান্নার মামাতো বোন?

উত্তর: মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন।

৬। সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম কত সালে?

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম ১৯০৪ সালে।

৭। সৈয়দ মুজতবা আলী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।

৮। সন্ধ্যার দিকে জাহাজ কোন বন্দরে পৌছাল?

উত্তর: সন্ধ্যার দিকে জাহাজ সুয়েজ বন্দরে পৌছাল।

৯। কোন শহরের মতো নিশাচর শহর লেখক দেখেন নি?

উত্তর: কায়রো শহরের মতো নিশাচর শহর লেখক দেখেন নি?

১০। কায়রোর রেস্তোরাঁগুলো দেখতে কেমন?

উত্তর: কায়রোর রেস্তোরাঁগুলো দেখতে অনেকটা নোংরা।

১১। মিশরীয় রান্নার সাথে কোন দেশের রান্নার মিল আছে?

উত্তর: মিশরীয় রান্নার সাথে ভারতীয় রান্নার মিল আছে?

১২। ‘ক্যারাভান’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ক্যারাভান শব্দের অর্থ কাফেলা।

১৩। ভোড়ার লোমের মতো কোঁকড়া কালো চুলধারী কারা?

উত্তর: ভেড়ার লোমের মতো কোঁকড়া কালো চুলধারী হলো খানদানি নিগ্রোরা।

১৪। সুদানবাসীর গায়ের রং দেখতে কেমন?

উত্তর: সুদানবাসীর গায়ের রং ব্রোঞ্জের মতো।

১৫। কাদের ছোঁট নিগ্রোদের মতো পুরু নয়, টকটকে লালও নয়?

উত্তর: সুদানবাসীর ঠোঁট নিগ্রোদের মতো পুরু নয়, টকটকে লালও নয়।

১৬। মিশরীয়রা কোন নদের জল দিয়ে চাষ করে।

উত্তর: মিশরীয়রা নীলনদের জল দিয়ে চাষ করে।

১৭। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভের নাম কী?

উত্তর: পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভের নাম পিরামিড।

১৮। পিরামিডের উচ্চতা প্রায় কত ফুট?

উত্তর: পিরামিডের উচ্চতা প্রায় পাঁচশ ফুট।

১৯। সবচেয়ে বড় পিরামিডটা বানাতে এক লক্ষ লোকের কত বছর সময় লেগেছিল?

উত্তর: সবচেয়ে বড় পিরামিডটা বানাতে এক লক্ষ লোকের বিশ বছর লেগেছিল।

২০। সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

২১। ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?

উত্তর: ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি ‘জলে ডাঙ্গায়’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

২২। লেখক কখন কায়রোর শহরতলিতে পৌছেছিলেন?

উত্তর: লেখক রাত েএগারোটায় কায়রোর শহরতলিতে পৌছেছিলেন।

২৩। রেস্তোরাঁর কয়খানি ছোট ছোট টেবিল একজোড়া করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল?

উত্তর: রেস্তোরাঁর তিনখানি ছোট ছোট টেবিল একজোড়া করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

২৪। ক্যাফে কিসে গিসগিস করছে?

উত্তর: ক্যাফে খদ্দেরে গিসগিস করছে।

২৫। সুদানবাসী প্রায় কত ফুট লম্বা?

উত্তর: সুদানবাসী প্রায় ছয়ফুট লম্বা।

২৬।জোর হাওয়ায় নৌকা ধাক্কা খেলে কয়টি ডিগবাজিতে তলিয়ে যাবে?

উত্তর: জোর হাওয়ায় নৌকা ধাক্কা খেলে গোটা আড়াই ডিগবাজিতে তলিযে যাবে।

২৭। মিশরের সম্রাটরা কী বলে পরিচিত?

উত্তর: মিশরের সম্রাটরা ফারাও বলে পরিচিত।

২৮। ‘ক্যাবারে’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ক্যাবারে’ শব্দের অর্থ নাচঘরে।

২৯। মিশরের পিরামিডের পরেই ভুবন বিখ্যাত কী?

উত্তর: মিশরের পিরামিডের পরেই সেখানকার মসজিদগুরো ভুবন বিখ্যাত।

৩০।বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলী কী রচয়িতা হিসেবে পরিচিত?

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী রম্যচয়িতা হিসেবে পরিচিত।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:

১। কায়রোতে বায়স্কোপ বেশিরভাগ খোলামেলাতে হয় কেন?

উত্তর: কায়রোতে বৃষ্টিপাত খুবই কম হয় তাই বায়স্কোপ বেশিরভাগ খোলামেলাতে হয়।

‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-রচনা থেকে জানা যায়, মিশরের কায়রোর জলবায়ু মুষ্ক। বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়। যদিও হয় তবু খুব অল্প সময় ধরে হয়। বৃষ্টি ন হওয়ার কারণে খোলা জায়গায় আকাশের নিতে বায়স্কোপ দেখানো হয়।

২। ‘কত জাত-বেজাতের লোক’-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: আলোচ্য উক্তটি দ্বারা কায়রোর দোকানগুরোতে নানা ধরনের ও নানা জাতের মানুষের সমাগমকে বোঝানো হয়েছে।

কায়রোর শহরে অবস্থানকালে লেখক নানা ধরনের মানুষ দেখতে পান। তাদের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন। তাদের চেহারা, আকার, আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন। কারও কোঁকড়া চুল, বোঁচা নাক, পুরু ঠোঁট। এরা নিগ্রো জাতি। আবার, ছিল ছয় ফুট লম্বা আলখাল্লা পরা সুদানবাসী। ‘কত জাত-বেজাতের লোক’ বলতে এসব লোককে বুঝানো হয়েছে।

৩। পিরামিডের উচ্চতা চোখের সামনে দেখেও ধারণা করা যায় না কেন?

উত্তর: প্রায় পাঁচশ ফুট উুঁচু পিরামিড চ্যাপ্টা আকারের হয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় এর প্রকৃত উচ্চতা ধারণা করা যায় না।

‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনিতে সৈয়দ মুজতবা আলী মিশরের পিরামিডের উচ্চতার বিষয়টি তুরে ধরেছেন। পিরামিড দেখতে বিশাল আকৃতির। তবে চোখের সামনে পিরামিডকে দেখলে এর প্রকৃত উচ্চতা নিরূপণ করা যায় না। পিরামিড উপর তেকে চ্যাপ্টা হয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় চোখের সামনে এটি ক্ষুদ্রাকৃতির মতো মনে হয়। তাই পিরামিডের প্রকৃত উচ্চতা চোখের সামনে দেখেও ধারণা করা যায় না।

৪। ফারাওরা মৃত্যুর পর দেহকে মমি বানিয়ে রাখতেন কেন?

উত্তর: পরলোকে অনন্ত জীবন পাওয়ার আশায় ফারাওরা মৃত্যুর পর দেহকে মমি বানিয়ে রাখতেন।

মিশরের সম্রাটরা ফারাও নামে পরিচিত ছিলেন। তারা পলোকে অনন্ত জীবন পাওয়ার আশায় মৃতদেহকে মমি বানিয়ে রাখতেন। তারা বিশ্বাস করতেন, তাদের শরীর যদি মৃত্যুর পর পঁচে যায় বা কোনো প্রকারের আঘাতে ক্ষত হয়, তবে তারা পরলোকে অনন্ত জীবন পাবে না। তাই তারা মৃত্যুর পর দেহকে মমি বানিয়ে পিরামিডের ভিতরে নিরাপদে রেখে দিতেন; যাতে কেউ ছুঁতে না পারে।

৫। “বেদুইন তার পুত্রের চেয়ে প্রিয়তর উটের গলা কাটে”-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: উটের জমানো জল খেয়ে প্রাণ বাঁচাবার জন্য বেদুইন তার পুত্রের চেয়ে প্রিয়তর উটের গলা কাটে ফেলে।

উট মরুভূমির জাহাজ হিসেবে পরিচিত। উট প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি জমিয়ে রাখতে পারে। বেদুইনদের যানবাহনের অন্যতম মাধ্যম হলো উট। উটকে তারা সন্তানের চেয়ে বেশি প্রিয় ভাবে। কিন্তু তৃষ্ণা নিবারণের জন্য প্রিয় উটকে হত্যা করতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না। তাই মৃত্যু থেকে বাঁচতে বেদুইনরা পুত্রের চেয়ে প্রিয়তর উটের গলা কাটে।

৬। পৃথিবীর বহু সমঝদার কেন সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে কায়রোতে আসেন?

উত্তর: পৃথিবীর বহু সমঝদার মানুষ কারুকার্যখচিত মসজিদ দেকার জন্য সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে কায়রোতে আসেন।

মিশরের মসজিদগুলো ভুবন বিখ্যাত এবং সৌন্দর্যে অতুলনীয়। কায়রো শহরে মসজিদের মিনারগুলো বিমেষ কারুকার্য সম্বলিত; যা নির্মাণ করা বর্তমানে অনেক কঠিন। অনাদিকাল ধরে এসব সুন্দর মিনার মসজিদের উপরে দাঁড়িয়ে আছে; যা দেখলে প্রাণ ভরে যায়। বর্তমানে এরকম সৌন্দর্য স্থাপনা তৈরি করার মতো কারিগর পৃথিবীতে নেই। নান্দনিক এই মসজিদের মিনার দেখতে পৃথিবীর বহু সমঝদার সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে কায়রোতে আসেন।

৭। “রং বদলে গিয়ে অন্য জিনিসের রং ধরে ফেলে”-বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: সূর্যাস্তের পর তপ্ত মরুভূমি রং বদলে অন্য রং ধারন করে।

‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনিতে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী মরুভূমির রূপ বদলের কথাটি বর্ণনা করেছেন। সোনালি বালিতে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে চিকচিক করে। আবার সূর্য অন্তের পর মরুভূমি আরেক সাজে সজ্জিত হয়। যে রং লেখকের চেনা অথচ বুঝতে কঠিন হয়। মরুভূমির রং বদলের সাথে সাথে লেখকের মনও অভিভূত হচ্ছে। তাই সূর্যের আলোতে এবং সূর্যাস্তের পর তপ্ত মরুভূমির রং বদলে অন্য জিনিসের রং ধারণ করছে।

৮। লেখকের সমস্ত ব্যাপারটা ভুতুড়ে বলে মনে হয়েছিল কেন?

উত্তর: মরুভুমির উপর চন্দ্রালোকের অদ্ভুত দৃশ্য দেখে লেখকের সমস্ত ব্যাপারটা ভুতুড়ে বলে মনে হয়েছিল।

‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী মরুভূমির ভিতর দিয়ে পথ চলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। লেখক চাঁদের আলোয় আলোকিত মরুভূমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ । আবার, চাঁদের আলোয় উঁচু-নিচু বালুর রেখা লেখকের কাছে কিছুটা ঝাঁপসা মনে হয়; যা অনেকটা ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই লেখকের কাছে এই ঝাপসা পরিবেশটাই ভুতুড়ে মনে হয়।

Leave a Comment