‘সুখ’ কবিতার সৃজনশীলে সহায়ক জ্ঞান ও অনুধাবনমূরক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১।‘সুখ’ কবিতার রচয়িতা কে?

উত্তর: ‘সুখ’ কবিতার রচয়িতা কামিনী রায়।

২। কামিনী রায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: কামিনী রায় ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

৩। ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তর: ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটি কামিনী রায়ের লেখা।

৪। কত বছর বয়সে ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যটি কবি রচনা করেন?

উত্তর: পনেরো বছর বয়সে ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যটি কবি রচনা করেন।

৫। ‘সুখ’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: ‘সুখ’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতা ত্যাগ করে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া।

৬। কোন মানুষ প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না?

উত্তর: সমাজবিছিন্ন মানুষ প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না।

৭। মানবসমাজ কীভাবে গড়ে উঠেছে?

উত্তর: পারস্পরিক ত্যাগের মধ্য দিয়ে মানবসমাজ গড়ে উঠেছে।

৮। ‘অশোক সংগীত’ গ্রস্থটির রচয়িতা কে?

উত্তর: ‘অশোক সংগীত’ গ্রন্থটির রচয়িতা কামিনী রায়।

৯। বাখরগঞ্জের বর্তমান নাম কী?

উত্তর: বাখরগঞ্জের বর্তমান নাম বরিশাল।

১০। যন্ত্রণায় জ্বলে মরতে কে জন্মগ্রহণ করে?

উত্তর: যন্ত্রণায় জ্বলে মরতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে।

১১। বীর বেশে কোথায় প্রবেশ করতে হয়?

উত্তর: সংসার সমর-অঙ্গনে বীর বেশে প্রবশে করতে হয়।

১৩। মানুষ কাকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হওয়ার জন্য পৃথিবীতে আসেনি?

উত্তর: মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হওয়ার জন্য পৃথিবীতে আসেনি।

১৪। ‘সৃজিলা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: সৃজিলা শব্দের অর্থ সৃষ্টি করলেন।

১৫। ‘অঙ্গন’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: অঙ্গন শব্দের অর্থ আঙিনা বা উঠান।

১৬। ‘বিব্রত’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘বিব্রত’ শব্দের অর্থ ব্যতিব্যস্ত হওয়া।

১৭। পরের কারণে কী বলি দিতে হবে?

উত্তর: পরের কারণে নিজ স্বার্থ বলি দিতে হবে।

১৮। আপনার কথা ভুলে থাকার মধ্যে কী আছে?

উত্তর: আপনার কথা ভুলে থাকার মধ্যে সুখ আছে।

১৯। সুখ সুখ করে কাঁদলে কী হয়?

উত্তর: সুখ সুখ করে কাঁদলে মনের কষ্ট বেড়ে যায়।

২০। কোন মৃত্যুকে সুখের বলা যায়?

উত্তর: পরের কারণে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করাকে সুখের বলা যায়।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:

১। কবি পরের কারণে স্বার্থ বরি দিতে বলেছেন কেন?

উত্তর: পরম সুখ পাওয়া যায় বলেই কবি পরের কারণে স্বার্থ বলি দিতে বলেছেন।

কামিনী রায় রচিত ‘সুখ’ কবিতায় স্বার্থপরতা ত্যাগ করে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। নিজের সুখ অন্বেষণে রয়েছে অতৃপ্তি। নিজের স্বার্থ রক্ষায় রয়েছে যন্ত্রণা। আর অন্যদিকে অন্যের কল্যাণে পাওয়া যায় সুখ। আর এই সুখ দুঃখ ভুলিয়ে দেয়। আর এ কারণে কবি পরের কারণে স্বার্থ বলি দিতে বলেছেন।

২। কবি বীর বেশে রণক্ষেত্রে যেতে বলেছেন কেন?

উত্তর: রণক্ষেত্রে বাঁচতে হলে লড়তে হয়, প্রকৃত বীরই পারেন যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায় লড়াই চালিয়ে যেতে এবং সেজন্য কবি বীর বেশে রণক্ষেত্রে যেতে বলেছেন।

কবি কামিনী রায়ের ‘সুখ’ কবিতা থেকে বোঝা যায়, সুখ নামক আপেক্ষিক বস্তুটির আকাঙ্ক্ষা সকল মানুষেরই। সুখের পেছনে ছোটাছুটি করতে করতে অনেকে ঞাঁপিয়ে ওঠে কিন্তু সুখের দেখা মেলে না। বস্তুত খুব অনায়াসে সুখ আসে না। সকল যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত থেকে সুখকে অর্জন করতে হয়। তাইতো কবি কামিনী রাং বীরের মতো এ সকল দুঃখ-যন্ত্রণাকে মোকাবেলার জন্য সংগ্রামের কথা বলেছেন।

৩। প্রকৃত সুখ বলতে কবি কামিনী রায় কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যে যে সুখ রয়েছে কবি কামিনী রায় সেই সুখকে প্রকৃত সুখ বলে অভিহিত করেছেন।

পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই চায় সুখী হতে। কেউ সুখী হতে পারে আবার কেউ সুখ নামক সোনার হরিণটার দেখা সারাজীবনেও পায় না্ কবি কামিনী রায় ‘সুখ’ কবিতায় প্রকৃত সুখ কী এবং কীভাবে তা লাভ করা যায় তার একটা দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যকে ভালোবাসা দিয়ে, অন্যের সুখে-দুঃখে অংশীদার হয়ে, অন্যের সেবা এবং কল্যাণের মাধ্যমেই কেবল প্রকৃত সুখের সন্ধান লাভ করা সম্ভব।

৪। পৃথিবীটা কাদের নিকট শুধু বিষাদময়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: যারা আন্তকেন্দ্রিক ও সংকীর্ণ মনের অধিকারী তাদের কাছে পৃথিবীটা শুধু বিষাদময়।

আমরা সকলেই জীবেন সুখী হতে চাই। কিন্তু আমরা জানি না যে সুখ কোথায় এবং কীভাবে পাওয়া যায়। এই জগতে যারা নিজেকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, যারা আত্মকেন্দ্রিক, সংকীর্ণ মনের অধিকারী। স্বার্থপরতা যাদের আরাধ্য বস্তু, জগতে যারা শুধু নিজের সুখ খোঁজেন তারা জীবনে সামান্য দুঃখ-যন্ত্রণা দেখে ভাবেন পৃথিবীটা শুধু বিষাদময়। আসলে বাস্তবে তা নয়।

Leave a Comment